“হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে মহান আলাহ তা’আলার নিকট তাওবা কর। তাহলে তোমরা সফলকাম হবে।” (সূরা ঃ নুর ঃ আয়াত ঃ ৩১)। মহান আলাহ তা’আলা আরো বলেন- “তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট গুণাহ মাফ চাও। অতঃপর তার নিকট তাওবা কর।” (সূরা ঃ হুদ ঃ আয়াত ঃ ৩১)। মহান আলাহ তা’আলা আরো বলেন- “হে মুমিনগণ! তোমরা মহান আলাহর নিকট খাটি তাওবা কর।” (সূরা ঃ তাহরীম ঃ আয়াত ঃ ৮)
১. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রসুলুলাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- মহান আলাহর কসম! আমি প্রতিদিন ৭০ বারেরও বেশি তাওবা করি এবং মহান আলাহর নিকট গুনাহ মাফ চাই। (বোখারী শরীফ)
২. হযরত আগার ইবনে ইয়াসার মুযানী রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ (সঃ) বলেছেন, হে মানুষেরা! তোমরা মহান আলাহর নিকট তাওবা কর এবং গুনাহ মাফ চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তাওবা করি। (মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আবদুর রহমান আবদুলাহ ইবনে উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেছেন, মহা পরাক্রমশালী মহান আলাহ (তার বান্দার) মৃত্যুর লক্ষণ গরগর (আওয়াজ প্রকাশের) পূর্ব পর্যন্ত তাওবা কবুল করেন। (তিরমিযী)
৪. হযরত আবূ মুসা আবদুলাহ ইবনে কায়েস আশআরী রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, মহান আলাহ তা’আলা পশ্চিম দিক হতে সূর্যোদয় না করা পর্যন্ত প্রতিরাতে তার ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকবেন। যাতে করে দিবসে যারা গুনাহ করবে তারা রাতে তাওবা করতে পারে। আর তিনি দিনে তার ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকবে যাতে করে রাতে যারা গুনাহ করবে তারা তাওবা করতে পারে।
৫. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের পূর্বে তাওবা করবে মহান আলাহ তা’আলা তার তাওবা কবুল করবেন। (মুসলিম শরীফ)
৬. হযরত আবদুর রহমান আবদুলাহ ইবনে উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেছেন, মহা পরাক্রমশালী মহান আলাহ (তার বান্দার) মৃত্যুর লক্ষণ গরগর (আওয়াজ প্রকাশের) পূর্ব পর্যন্ত তাওবা কবুল করেন। (তিরমিযী)
Leave a Reply